শেখ রুবেল, টাঙ্গাইল প্রতিনিধি:
টাঙ্গাইল ভূঞাপুরে ৫ দিন পর ভূঞাপুর-তারাকান্দি সড়কের ভরুয়া এলাকা থেকে বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধারকৃত তরুণী খোদেজা খাতুন (১৯) এর ধর্ষণ ও হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে পিবিআই। হত্যাকাণ্ডের এ ঘটনায় জড়িত প্রধান আসামিসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুুুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
রবিবার (০৮ আগস্ট) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছেন পিবিআই। এসময় পিবিআই এর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সিরাজ আমিন জানিয়েছেন, কৃষ্ণ চন্দ্র দাসের সঙ্গে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পরিচয়ে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে স্কুলছাত্রী খোদেজা খাতুন
পরে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বন্ধুদের সহযোগিতায় একাধিকবার ওই স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করে কৃষ্ণ চন্দ্র। ধর্ষণের এক পর্যায়ে ওই তরুনী চিৎকার চেঁচামেচি করলে তার গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। পরে ওই তরুণীর লাশ কৃষ্ণের তিন বন্ধু মিলে বস্তায় ভরে ভূঞাপুর-তারাকান্দি সড়কের ভরুয়া এলাকায় ফেলে রেখে যায়।
এ ঘটনায় ৬ আগস্ট কৃষ্ণ চন্দ্রকে প্রধান আসামি করে চারজনের বিরুদ্ধে ভূঞাপুর থানায় ধর্ষণ ও হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। পরে জেলা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) সদস্যরা ঘটনার মূলহোতা প্রেমিক কৃষ্ণ চন্দ্র দাসসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা হলেন- টাঙ্গাইল গোপালপুর উপজেলার ঝাওয়াইল ইউনিয়নের বেঙ্গুলা গ্রামের মৃত নগেন চন্দ্র দাসের ছেলে কৃষ্ণ চন্দ্র দাস (২৮)। তার সহযোগিতা আসামিরা হলেন ধনবাড়ি উপজেলার বলিভদ্র ইউনিয়নের ইসপিনজারপুর গ্রামের মোশারফ হোসেনের ছেলে সৌরভ আহমেদ হৃদয়(২৩), অত্র উপজেলার একই গ্রামের মৃত মজিবর রহমানের ছেলে মিজানুর রহমান (৩৭) এবং একই উপজেলার কেরামজানি গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের ছেলে মেহেদি হাসান টিটু (২৮)।
এর পূর্বে গত ৩ আগস্ট ভূঞাপুর-তারাকান্দি সড়কের ভূঞাপুর উপজেলার ভরুয়া এলাকা থেকে অজ্ঞাত এক তরুণীর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে ভূঞাপুর থানা পুলিশ। পরে ওই তরুনীর পরিচয় শনাক্ত না হওয়ায় ময়নাতদন্ত শেষে বেওয়ারিশ হিসেবে ভূঞাপুর ছাব্বিশা কেন্দ্রীয় কবরস্থানে লাশ দাফন করা হয়।
Leave a Reply