ভূঞাপুরে উপ-প্রকৌশলী মিরাজুলের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি ও ঘুষের অভিযোগ

  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২২
  • ১০৫৬ দেখেছেন

উপ-সহকারী প্রকৌশলী মিরাজুলের বিরুদ্ধে জরিমানার অধিক টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে! 

টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে বিদ্যুৎ অফিসের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মিরাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি ও সরকারের রাজস্ব আত্মসাৎ এর অভিযোগ উঠেছে।

জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভূঞাপুর বিদ্যুৎ অফিসের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মিরাজুল ইসলামের নেতৃত্বে ভূঞাপুর টিভিএস শো রুমে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ চালানোর দায়ে মিটারসহ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়।

পরে দিনভর নানা রকম নাটকীয়তা শেষে ওই শো’রুম মালিকের নামে ৩৯ হাজার ৮৮৫ টাকা জরিমানা করে সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।

তবে বৃহস্পতিবার অফিস টাইম শেষ হওয়ায় রবিবার জরিমানার টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দিলেও বৃহস্পতিবার থেকেই পুনরায় শো’রুমটিতে বিদ্যুৎ সংযোগ স্থাপন করে দেয় বিদ্যুৎ বিভাগ।

গোপনসুত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন টিভিএস শো’রুম থেকে জরিমানার অধিক টাকা আদায় করে বিদ্যুৎ বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মিরাজুল ইসলাম। তবে রবিবার সরকারি কোষাগারে জমা দেন মাত্র ৩৯ হাজার ৮৮৫ টাকা।

নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, এখানকার দুর্নীতিবাজ কর্তাব্যক্তিরা তাদের ভালো মানুষের অন্তরালে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। তাদের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে কিছু অসৎ কর্মচারী। এ দুর্নীতিবাজরা বিদ্যুৎ চুরির হিসাব মিলাতে গিয়ে সাধারণ গ্রাহকদের ওপর চাপিয়ে দিচ্ছে ভুতুড়ে বিদ্যুৎ বিল, যা নিয়ে বিপাকে পড়ছেন গ্রাহকরা।

উপজেলার তিন ইউনিয়নের অর্ধশতাধিক গ্রাহক জানান, বিদ্যুৎ অফিস দুর্নীতির হাট হয়ে গেছে। নতুন সংযোগ নিতে গেলে প্রথমেই অফিস থেকে ডিজিটাল মিটার ক্রয় করার অলিখিত শর্ত দেয়া হয়। পরে নগদ টাকা দিয়ে মিটার কেনার পরই মেলে সংযোগের অনুমোদন।

মিরাজুল ইসলাম, বিদ্যুৎ উপ-সহকারী প্রকৌশলী ভূঞাপুর

জরিমানার বিষয়ে জানতে চাইলে উপ-সহকারী প্রকৌশলী মিরাজুল ইসলাম বলেন, অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ চালানোর দায়ে এক প্রতিষ্ঠান কে ৪০/৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় প্রথমে বললেও পরে ৩৯ হাজার ৮৮৫ টাকা জরিমানা করার কথা নিশ্চিত করেন।

নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের অফিসিয়ালি কোন বক্তব্য না দিলেও কথোপকথনে জানা যায়, যদি জরিমানার টাকার পরিমান কম মনে হয়, তাহলে আমরা আরো ১মাস ওই মিটার পর্যালোচনা করে জরিমানার হার বাড়াতে পারি।  আর যদি কেউ জরিমানার অধিক টাকা আদায় করে থাকে সেটা আমার অজানা। আমি জানার চেষ্টা করব। আর যখন তখন ২০/৩০ হাজার টাকা দেওয়ার সক্ষমতা আমার আছে।

 

 

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এ জাতীয় আরো সংবাদ
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি