ভূঞাপুরে প্রধান শিক্ষক নাজমুলের বিরুদ্ধে সাক্ষর জালিয়াতি করে টাকা উত্তোলনের অভিযোগ

  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২১
  • ৭৯৬ দেখেছেন

হাদী চকদার, টাঙ্গাইল জেলা প্রতিনিধিঃ

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরের গাবসারা ইউনিয়নের ২২নং চরচন্দনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাজমুল মোর্শেদের বিরুদ্ধে সভাপতির সাক্ষর জাল করে সরকারি স্লিপের টাকা উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে।

গত ২২শে আগষ্ট  জেলা শিক্ষা অফিসার, উপজেলা শিক্ষা অফিসার ও দুর্নীতি দমন কমিশন, ঢাকা বরাবর এ বিষয়ে ৩টি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন অত্র বিদ্যালযের স্লিপ কমিটির বর্তমান সভাপতি আব্দুল লতিফ।

অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, সোনালী ব্যাংক ভূঞাপুর শাখায় চরচন্দনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্লিপ কমিটির একটি চলতি হিসাব নম্বর রয়েছে। তাতে নতুন সভাপতির অগোচরেই  অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাজমুল মোর্শেদ স্লিপের ২০২০-২০২১ অর্থ বছরের ৫০ হাজার টাকা উত্তোলন করেছেন । এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করতে লিখিত এ অভিযোগটি করেছেন।

আরো জানা যায়, ৩০শে সেপ্টেম্বর ভূঞাপুর উপজেলা শিক্ষা অফিসার এম. জি মাহমুদ ইজদানী কর্তৃক গঠিত ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটির মাধ্যমে নাজমুল মোর্শেদের কাছে জবাব চাওয়া হয়। পরে ৬ ই অক্টোবর তিনি একটি লিখিত জবাবও দাখিল করেন।

অভিযোগকারী সভাপতি আব্দুল লতিফ জানান, গত ১ বছর পূর্বে পুরাতন স্লিপ কমিটির মেয়াদ শেষ হলে সে কমিটি বিলুপ্ত ঘোষনা করে নতুন কমিটি গঠন করা হয়। এতে আমি ১ বছর ধরে সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছি। কিন্তু আমাকে না জানিয়েই প্রধান শিক্ষক নাজমুল মোর্শেদ দীর্ঘদিন যাবত স্লিপের টাকা উত্তোলন সহ বিভিন্ন ফান্ডের টাকা উত্তোলন করে আসছেন। এছাড়াও সেই টাকা কোথায় কিভাবে খরচ করেছেন সেটিও আমার অজানা।

এ বিষয়ে গাবসারা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মনির বলেন, পুরাতন কমিটি বিলুপ্ত হলে নতুন কমিটি গঠন হলেও প্রধান শিক্ষক নাজমুল মোর্শেদ বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতির সাক্ষর ব্যবহার করে স্লিপের টাকা উত্তোলন করে  কোন খাতে ব্যয় না করে তারা দুজনে বন্টন করে নিয়েছে। এ বিষয়টি আমার মনে হয় এটি অবশ্যই একটি অন্যায় ও ইচ্ছাকৃত ভুল কাজ। আমি আশা করি যথাযথ কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিবে ও বিভাগীয় ভাবেও ব্যবস্থা গহণ করবে।

এ অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করে প্রধান শিক্ষক নাজমুল মোর্শেদ উর্ধতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া সাংবাদিকের সাথে কথা বলতে রাজি হন নি।

তবে অভিযোগের বিষয়টি স্বীকার করে উপজেলা শিক্ষা অফিসার এম.জি মাহমুদ ইজদানী যমুনা নিউজ ২৪ কে বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে নাজমুল মোর্শেদের নিকট জবাব চাওয়া হয়। পরে তিনি তার জবাবে জানান নতুন সভাপতির অগোচরে সাবেক সভাপতির সাক্ষর ব্যবহার করে স্লিপের টাকা উত্তোলন করেছেন।

এতে তার দায়িত্ব অবহেলার প্রমাণ মিলেছে। যেহেতু তিনি প্রধান শিক্ষক হিসাবে একটি প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন। সেহেতু ভবিষ্যতে যাতে এধরণের ঘটনা আর না ঘটে সেমর্মে কঠোরভাবে তাকে সতর্ক করা হয়েছে।

JN-24/2021

© যমুনা নিউজ ২৪

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এ জাতীয় আরো সংবাদ
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি