যমুনা নদীতে এবার এনায়েতপুর থানার পুলিশের টহল জোরদার
সোহেল রানা, চৌহালী ( সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি:
যমুনা নদী পাড়ে ডাকাতির আশঙ্কায় রাত জেগে সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানার জালালপুর আবাসন ও পাকুরতলা এলাকাবাসির পাহারার বিষয়ে যুগান্তর পত্রিকা ও অনলাইনে সচিত্র সংবাদ (২৯ আগষ্ট) প্রকাশিত হয়।
খবরটি প্রকাশের পর থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বহু শেয়ার ও সকলের দৃষ্টি কারে। পরে এ নিয়ে প্রশাসন ও সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষন হলে ওই এলাকায় পুলিশি টহল জোরদার করেছে।
সোমবার বিকেলের দিকে সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) নুরে আলম সিদ্দিকী ওই এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন। এসময় এনায়েতপুর থানার ওসি আনিছুর রহমান এবং ওসি তদন্ত জাকির হোসেন মোল্লা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে সোমবার রাতে সরেজমিন জানা যায়, যমুনা নদী পাড়ের জালালপুর গুচ্ছগ্রাম আবাসন প্রকল্প ও পাকুরতলা সহ থানা এলাকায় নৌ পথে থানা পুলিশের টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে। এলাকাবাসির সম্পদ ও জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিতে বিট পুলিশিং তরান্বিত করা হয়েছে। তবে অন্যান্য দিনের মত সোমবার রাতেও এলাকাবাসি পাহারা দিয়েছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য মহির উদ্দিন বলেন, যুগান্তর সহ বিভিন্ন মিডিয়ার সংবাদ প্রচারের পর দেশে জুড়ে খবরটি আলোচনায় আসে। আগে নদী পাড়ে রাতে পাহারা বসানো হতো। এখন পুলিশি টহল জোরদার করায় ভাঙনে বিধ্বস্ত মানুষের মধ্যে অনেকটা স্বস্তি ফিরে এসেছে। তবে পুলিশের টহলের পাশাপাশি পাহারাও থাকবে।
এদিকে যমুনা চরাঞ্চল ও নদী পাড়ের মানুষকে বর্ষার সময় আতঙ্কিত না হবার পরামর্শ দিয়ে এনায়েতপুর থানার ওসি আনিছুর রহমান গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, থানা পুলিশের টহল কার্যক্রম অতীতের ন্যায় অব্যাহত থাকবে এবং আরও জোরদার করা হবে।
এছাড়া জনগনের সাথে পুলিশের নিবির যোগাযোগ স্থাপনের মধ্যে দিয়ে এলাকায় শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।
উল্লেখ্য- বর্ষা মৌসুমের শুরু থেকে চৌহালী উপজেলা ও এনায়েতপুর থানার যমুনা পাড়ে ভাঙন ও বন্যায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এর সাথে যুক্ত হয়েছে ডাকাত আতঙ্ক। তাই রাত জেগে চলে পাহারা। উপজেলার উমারপুর, ঘোড়জান, স্থল, খাষপুখুরিয়া, বাঘুটিয়া ও সদিয়া চাঁদপুর ইউনিয়নের পুর্বাংশ সহ বিভিন্ন অঞ্চলে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। একারনে চরাঞ্চলের প্রায় প্রতিটি বাড়িতে গবাদি পশু ও ফসলাদি নিয়ে কৃষকরা বিপাকে পড়েছে।
উপজেলার প্রায় ৩৮ কিলোমিটার যমুনা নদীতে নৌ পুলিশের টহল এক দিকে দিলে অন্য এলাকার মানুষ নিরাপত্তহীনতায় ভোগে। যে কারনে ডাকাতি রোধ কল্পে চরাঞ্চলের কিছু কিছু মহল্লায় রাত জেগে পালাক্রমে পাহারা দেয়া হয়।
JN-24/2021
Leave a Reply