যমুনা পাড়ে বিট পুলিশিং সমাবেশ, পুলিশ সুপারের আগমন

  • আপডেট টাইম : বুধবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২১
  • ১৬৮ দেখেছেন

যমুনা পাড়ে বিট পুলিশিং সমাবেশ, পুলিশ সুপারের আগমনে আতঙ্কিত এলাকাবাসির মধ্যে কিছুটা স্বস্তি

সোহেল রানা, চৌহালী (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ

সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানার জালালপুর যমুনা নদী পাড়ে প্রশাসনের আনাগোনা বেড়েছে।

২৯ আগষ্ট ওই এলাকায় ডাকাতের আতঙ্কে এলাবাসি, এ নিয়ে বিভিন্ন গনমাধ্যমে সচিত্র সংবাদ প্রকাশ হয়। এর পর থেকে পুলিশের বিভিন্ন স্তরের
কর্মকর্তারা ওই এলাকা পরিদর্শন করেন। সর্বশেষ বুধবার বিকেলের দিকে নদী পাড়ে বিট পুলিশিং সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার হাসিবুল আলম বিপিএম। এতে সভাপতিত্ব করেন এনায়েতপুর থানার ওসি আনিছুর রহমান।

বিশেষ অতিথি ছিলেন বেলকুচি সার্কেলের এএসপি সিদ্দিক আহমদ, এনায়েতপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জাকির হোসেন মোল্লা ও ইউপি চেয়ারম্যান হাজী সুলতান মাহমুদ সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

জানা যায়, বর্ষা মৌসুমের শুরু থেকে এনায়েতপুর থানার দক্ষিনাঞ্চলের যমুনা পাড়ে ডাকাত আতঙ্ক বিরাজ করে। তাই রাত জেগে চলে পাহারা। এনায়েতপুর ও চৌহালী উপজেলার উমারপুর, ঘোড়জান, স্থল, খাষপুখুরিয়া, বাঘুটিয়া ও সদিয়া চাঁদপুর ইউনিয়নের পুর্বাংশ সহ বিভিন্ন অঞ্চলে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে।

একারনে চরাঞ্চলের প্রায় প্রতিটি বাড়িতে গবাদি পশু ও ফসলাদি নিয়ে কৃষকরা বিপাকে পড়েছে। উপজেলার প্রায় ৩৮ কিলোমিটার যমুনা নদীতে নৌ
পুলিশের টহল এক দিকে দিলে অন্য এলাকার মানুষ নিরাপত্তহীনতায় ভোগে। যে কারনে ডাকাত আতঙ্কে চরাঞ্চলে রাত জেগে পালাক্রমে পাহারা দেয়া হয়।

এ বিষয়ে জালালপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা ও এনায়েতপুর থানা আ’লীগের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যক্ষ বজলুর রশিদ ও সাধারন সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) আজগর আলী বিএসসি জানান, এনায়েতপুরের দক্ষিণাঞ্চলটি নদী ভাঙনে বিপর্যস্ত। এখানে এক দিকে নদী ভাঙন সাথে বর্ষাকালে ডাকাত আতঙ্ক। এ কারনে নদী পাড়ে রাত জেগে
পাহারার ব্যবস্থা করে স্থানীয়রা।

সংবাদ মাধ্যমে বিষয়টি সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষিত হলে পুলিশের তৎপরতা বেড়েছে। বিশেষ করে পুলিশ সুপারের আগমনে এলাকাবাসির মধ্যে একটা স্বস্তি ফিরেছে। এখানে একটি অস্থায়ী পুলিশ
ক্যাম্প স্থাপনে দাবি জানাই।

এ ব্যাপারে সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার হাসিবুল
আলম বিপিএম বলেন, বন্যার পানি বৃদ্ধি পেলে নদী তীরবর্তী এলাকায় মানুষের মধ্যে গবাদি পশু চুরি সহ সবসময় একটি আতঙ্ক বিরাজ করে। এখানে পুলিশের সহযোগিতায় সাধারন মানুষ রাত জেগে পাহারা দেয়া হয়। এজন্য বন্যার সময় নৌ পুলিশ টহল বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া একটি অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প স্থাপনে চেষ্টাও করা হবে।

তিনি আরও বলেন, আতঙ্ক আছে বলেই মানুষের মাঝে সচেতনতা আছে। রাত জেগে পাহারা দেয়া সবাইকে টর্চ লাইট সহ লজিষ্টিক সাপোর্ট দেয়া
হবে।

JN-24/2021

© যমুনা নিউজ ২৪

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এ জাতীয় আরো সংবাদ
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি