ভূঞাপুরে বিদ্রোহী প্রার্থীর কর্মীদের উপর আওয়ামীলীগ প্রার্থীর কর্মীদের হামলা

  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২১
  • ১৩১৩ দেখেছেন

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরের নিকরাইলে বিদ্রোহী প্রার্থীর কর্মীদের উপর আওয়ামীলীগ প্রার্থীর কর্মীদের অতর্কিত হামলা।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ 

চতুর্থ ধাপের ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে টাঙ্গাইল জেলার ভূঞাপুর উপজেলার নিকরাইলে বিদ্রোহী প্রার্থীর কর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর বিরুদ্ধে। ৮ই ডিসেম্বর বুধবার দুপুরে উপজেলার নেংড়ার বাজারে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, নিকরাইল বাজারে বিদ্রোহী প্রার্থী মাসুদুল হক মাসুদের কর্মীদের নিয়ে নির্বাচনী ওঠান বৈঠকে যাওয়ার পথে অতর্কিত হামলা চালায় আওয়ামীলীগ প্রার্থী মতিন সরকারের সমর্থকরা। এতে বিদ্রোহী প্রার্থীর ১০জন কর্মী আহত হয়। এ সময় হামলাকারীরা বিদ্রোহী প্রার্থীর ১টি মাইক্রোবাস ভাংচুর ও ৩টি মোটরসাইকেল ভাংচুর করে।

পরে খবর পেয়ে ভূঞাপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এখনো এলাকায় থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। এতে আতংকে রয়েছে এলাকাবাসী।

এ ঘটনায় নিকরাইল ইউনিয়ন পরিষদের ২নং ওয়ার্ড মেম্বার ও প্যানেল চেয়ারম্যান নুর আলম মন্ডল নুহু বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে একটি মিছিল নিয়ে নিকরাইল যাওয়ার পথে নেংড়ার বাজার এলাকায় আওয়ামীলীগ প্রার্থী মতিন সরকারের সমর্থকরা আমাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এছাড়াও ৭ই ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দের পরে মাসুদ মামার নির্বাচনী মাইক ভাংচুর ও পোষ্টার ছিড়ে ফেলেছেন তারা।

বিদ্রোহী প্রার্থী মোঃ মাসুদুল হক মাসুদ বলেন, আওয়ামীলীগ প্রার্থী মতিন সরকার ও তার সমর্থকরা বিভিন্নভাবে আমার কর্মীদের উপর হামলা চালাচ্ছে ও আমার নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় বাধা দিচ্ছে। ৭ই ডিসেম্বর দুপুরে নেংড়ার বাজারে আমার কর্মীদের উপর আওয়ামীলীগ প্রার্থী মতিন সরকারের নির্দেশে তার ভাই আঃ মোমিন সরকার, মোঃ মোনায়েম সরকার, চাচাত ভাই নয়ন সরকার, লিমন সরকার ও আব্দুল করিম মেম্বারের নেতৃত্বে আঃ রহমান, ওয়াজেদ আলী, বাবলু, লিমন, স্বাধীন সহ ২০/২৫ জন মিলে এ হামলা চালায়। এ ঘটনায় আমার ভাই বাদী হয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।

এ বিষয়ে আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ আব্দুল মতিন সরকার কে বার বার মুঠোফোনে ফোন করলে তিনি রিসিভ করেননি।

এ বিষয়ে ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল ওহাব জানান, নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। বুধবার দুপুরে সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। দুই প্রার্থীর সাথে নির্বাচনকালীন সময়ে যাতে কোনো সহিংস ঘটনা না ঘটে এ বিষয়ে তাদের সাথে মত বিনিময় করেছি। কোন প্রকার সহিংস ঘটনা ঘটলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এ জাতীয় আরো সংবাদ
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি